নির্মাণের মাত্র ছয় বছরের মধ্যে ধসে পড়েছে মানিকগঞ্জের পাঞ্জনখাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ছাদ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভবনের একটি শ্রেণিকক্ষের ছাদ ধসে পড়ে। এর কিছুক্ষণ আগে পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয় ছেড়ে যায় শিক্ষার্থীরা। তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে তারা।
বিদ্যালয় ভবনধসের খবর পাওয়ার পরপরই সেখানে ছুটে যান মানিকগঞ্জের ইউএনও মো. আমিরুল হক, শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মহম্মদ তৌহিদ ও সদর উপজেলা প্রকৌশলী বাবুল হোসেন। ইউএনও তাৎক্ষণিকভাবে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে এটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেন। ভবনের দেয়ালে ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রবেশ নিষেধের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্পের আওতায় এ বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ১৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। মেসার্স শোভন ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২০০৮ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ করে।
ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার আগ পর্যন্ত ছাদ ধসে পড়া ভবনের তিনটি কক্ষ এবং টিনশেড ভবনের দুটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজীত কুমার সরকার জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পরই একটি কক্ষের ছাদ ধসে পড়ে। এর পর থেকে অন্য কক্ষের ফাটল আরো বড় হয়েছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. সামছুদ্দিন একই অভিযোগ করে বলেন, 'মাত্র ছয় বছরের একটি ভবন কিভাবে ধসে পড়ল তার তদন্ত এবং দোষীদের বিচার করা উচিত। নতুন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় এখন শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বড় ধরনের সমস্যা হবে। প্রকৌশলী বাবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে কেন ছাদ ধসে পড়ল তা খতিয়ে দেখা হবে।
http://www.kalerkantho.com/print-edition/priyo-desh/2014/08/16/117646