বাঙ্গালির মুক্তির কাণ্ডারি


দেখিনি ৫২, দেখিনি ৫৪,
দেখিনি ৬২-র আন্দোলন, উদ্দীপনা,
দেখিনি ৬৯, দেখিনি ৭০,
দেখিনি আমি ৭-ই মার্চের মিলন মোহনা।  

হয়তোবা বলতে পারো, দুর্ভাগ্য আমার
৭১-র আগে আমার জন্ম হয়নি,
কিন্তু আমি বলবো, সুভাগ্য আমার
কারণ, বিধি আমায় দুটি সুদর্শনা চোখ দিয়েছে,
আরও দিয়েছে, শ্রবণ শক্তি সম্পন্ন দুটি কর্ণ।
বিধির নিয়ামত, কর্ণ আমায় সত্য শুনিয়েছে
চোখে দেখি আমি বাংলার ইতিহাসের সঠিক বর্ণ।

আজো আমি মুগ্ধ হয়ে শুনি সেই অমৃত সুধা,
যে সুধায় মিটে সবার প্রাণের ক্ষুধা।
৭ মার্চে যে সুধা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন
বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গালির মুক্তির কাণ্ডারি
মিলন মোহনায় দাঁড়িয়ে সেদিন
স্বাধীনতার দিশারী, দৃপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।
মূলত ঐ দিন থেকেই শুরু হয়
আমাদের মুক্তি সংগ্রামের নতুন পয়গাম।  

আজ স্বাধীনতার ৪৩ বছর,
আমরা অনেক কিছু করেছি অর্জন,
কিন্তু স্বাধীনতার স্বপ্ন এখনো হয়নি পূরণ,
এই স্বপ্নের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কুশক্তি
৭১-র পরাজিত শক্তিরা বারবার আঘাত হেনেছে 
আমাদের স্বাধীনতার উপর,
পর্বতসম জনপ্রিয়তা নিয়ে বাংলার কাণ্ডারি
যখন হাল ধরলেন,
তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নিষ্ঠুর ঘাতকের দল
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

শুধু হত্যা করেই ওরা ক্ষান্ত হয়নি,
এই বর্বরোচিত হত্যাকে জায়েজ করার জন্য
নানা অপপ্রচার চালাতে থাকে।
ধর্মের দোহাই দিয়ে আমার দেশের সহজ-সরল
মানুষদের বিভ্রান্ত করতে থাকে।
ওরা গ্রহণ করে হিটলারের সেই তত্ত্ব,
যেই তত্ত্বে মিথ্যাকে শতবার বললে মানুষ সত্য মনে করে।

নর্দমার কীট, ৭১-র পরাজিত শক্তিকে আমি বলবো
আচ্ছা, ধরে নিলাম বঙ্গবন্ধু খুব খারাপ লোক ছিলেন,
তোমাদের নিকট আমার প্রশ্ন,
ওই দিন, শেখ রাছেল যখন জানে বাঁচার আকুতি করছিল,
শেখ রাছেল যখন বলছিল,
আমাকে হাসু আপার নিকট পাঠিয়ে দাও,
বড় হলে আমি সারাজীবন তোমাদের দাসত্ব করবো,
জান্নাতি মেহমানের এমন আকুতি শুনে
কঠিন পাথরেরও  তো মন গলে যাবে।

নিষ্পাপ শিশুর এমন আকুতিকে উপেক্ষা করে
তোমারা কেন তাঁকে হত্যা করলে?
এতেই তো প্রমাণ হয়,
এই স্বাধীনতা তোমাদের ভালো লাগেনি।
ভালো লাগেনি, ভালো কথা!
কিন্তু কেন তোমারা আমার স্বাধীন মায়ের বুকের উপর
দাপিয়ে বেড়াও, কেন নিষ্পাপ মানুষদের পুড়িয়ে মারো?

শোন ৭১-র পরাজিত শক্তিরা...
এতই যদি তোমাদের কষ্ট হয়, আমাদের স্বাধীনতায়,
তোমরা কি চলে যেতে পারো না?
তোমাদের সেই পেয়ারের স্থানে।
তোমাদের তো সেই স্থানই বেশী ভালো লাগার কথা
যে স্থানে ঈদগাহে বোমা দিয়ে মুসলিম মারলেও
বলার কেউ নেই, বরঞ্চ জিহাদি বলে উৎসাহ দিবে।
তবে কেন আমাদের জ্বালাতন করছ?
চলে যাও তোমাদের সেই পবিত্র ভূমে।

মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ কবি পরিষদ
সিঙ্গাপুর শাখা।   

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

সহিদুলের লেখা